তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার

আধুনিক বিশ্ব এত বেশী উন্নত হয়ে উঠেছে যে, আমাদের প্রতিটি কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। প্রতিদিন আমাদের প্রায় কাজেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছি। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে প্রতিদিন সকালবেলা মোবাইলের শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। তাই আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার নিয়ে কথা বলবো।

আমদের হয়ত অনেকের জানা নেই যে কোন কোন খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে আসছে। দেখুন আমরা এখন চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো যায়গায় যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি। চাইলে ঘরে বসে যেকোনো পন্য কিনতে পাচ্ছি। খেয়াল করলে দেখা যায় আমাদের বর্তমান জীবন যেন তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া একেবারেই অচল।

 

তাহলে চলুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ও খেত্র সমূহ নিয়ে সংক্ষেপে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পেতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়তে হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার জানার পূর্বে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাক। প্রযুক্তি বলতে যন্ত্র ও বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার করে নানা রকম কাজ সম্পাদন এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রনের একটি মাধ্যমকে বোঝায়। আমাদের চারিদিকে প্রচুর পরিমাণে ডাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর সেই সমস্ত ডাটা গুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে একত্র করণ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি।

যেকোনো তথ্যকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানান্তর করা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যম দেখতে গেলে যাতায়াত, বাস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা বিভিন্ন খেত্র সমূহ রয়েছে।

যেমন,

  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য এখন ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা সম্ভব হয়ে উঠেছে।
  • চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো কিছু অর্ডার করা যায়।
  • ঘরে বসেই প্লেনের টিকেট কাটা সম্ভব হয়ে উঠেছে।
  • এখন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘরে বসে চাকরির জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।
  • টাকা লেনদেন অনেক বেশী সহজ হয়ে উঠেছে।
  • ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিলান্সিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়।
  • মোবাইল ব্যবহার করেই বিশ্বের লাইব্রেরী থেকে সহজেই বই পড়া যাচ্ছে।
  • যোগাযোগের জন্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম।
  • অতি সহজেই যেকোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সার্চ করার মাধ্যমে।
  • গবেষণা কাজে অনেক কিছু সহজ হয়ে উঠেছে।
  • চাইলেই যেকোনো তথ্য সেভ করে রাখা যাচ্ছে এবং সেটি পরবর্তিতে ব্যবহার করা যাচ্ছে।

এমন অনেক খেত্র রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে। তাহলে এখন মূল টপিকে যাওয়া যাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক যেন পরীক্ষা ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের অনেক খেত্র রয়েছে। সব গুলো নিয়ে যেমন আলোচনা করা সম্ভব নয় তেমনি সমস্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা করা সম্ভব নয় তাই ব্যাসিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

আপনি একটু সময় নিয়ে পড়তে থাকুন কারণ সমস্ত কিছু একদম সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করা হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার সম্পর্কে।

১- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

সেই ১৯৬৪ সাল থেকে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটে। তখন প্রথম টেলিকমিউনিকেশন এবং কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয় আর তার পর থেকে ধাপে ধাপে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতি হওয়া শুরু হয়।

আজ অতি সহজেই ক্লাসরুম গুলোকে ডিজাটাল নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। ব্যবহার হচ্ছে সিসি টিভি ক্যামেরা এবং ক্লাস রুম গুলোতে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অন্য রকম এক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের নাম, ঠিকানা, রেজাল্ট এবং যাবতীয় সমস্ত তথ্য অতি সহজেই ডেটাবেজে সেভ করা রাখা হচ্ছে এবং সেটি চাইলে পরবর্তিতে যেকোনো যায়গায় বসেই দেখা যাচ্ছে। যেমন পরিক্ষার ফলাফল দেয়ার সাথে সাথেই মার্কশিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। তাই এখন আর কষ্ট করে স্কুলে গিয়ে রেজাল্ট নিয়ে আসতে হয়না।

শিক্ষে কাজের উন্নয়ন এবং পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য অনেক ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে আর তার মধ্যে একটি রয়েছে ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য আবেদন। শুধু তাই নয়, অনলাইন থেকেই পরীক্ষার প্রবেশ পত্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ডিজিটাল আইডি কার্ড, পরীক্ষার ফলফাল সমস্ত কিছুই এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে উঠেছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের এখন বাইরে গিয়ে টিউশন নিতে হচ্ছে না চাইলেই ঘরে বসে বিভিন্ন ধরণের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হওয়ার বা হাজিরা ব্যবস্তার জন্য রয়েছে বায়োমেট্রিক অনলাইন হাজিরা ব্যবস্থাপনা। শুরু তাই নয় অতি সহজেই যেকোনো শিক্ষা মূলক পেমেন্ট করা হচ্ছে অনলাইনে, অতি সহজেই অভিবাবক এবং শিক্ষার্থীদের কাছে মেসেজ পাঠানো যাচ্ছে।

উন্নত বিশ্ব গুলো যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক বেশী উন্নত করে ফেলেছে, ঠিক তেমনি আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অনেক বেশী ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। শিক্ষার মাধ্যেমটাকে অনেক বেশী আপডেট করা হয়েছে আর শিখন ব্যবস্থা হয়েছে অনেক বেশী উন্নত।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল উপকরণ যেমন মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের জন্য রয়েছে কম্পিউটার ও প্রজেক্টর, ইন্টারনেট শুবিধা এবং লাউড স্পিকারের ও মাইক্রফনের ব্যবহার। এই সমস্ত কিছুই সমন্বয় ঘটিয়ে যে ক্লাস রুম তৈরি করা হয়েছে মূলত সেটিকেই বলা হয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।

এখন দেশের প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমস্ত খাতেই ব্যবহার হচ্ছে প্রযুক্তি। একটি স্লোগান রয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি নয় বরং শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার – আর এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ক্লাস রুম গুলোতে যুক্ত করা হয়েছে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার।

এখন মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম ব্যবহার করে সরাসরি ভিডিও ক্লিপ, এনিমেশন, বিভিন্ন ধরণের টেক্সট, ছবি ইত্যাদি দেখানোর মাধ্যমে শিক্ষার মান অনেক বেশী উন্নত হয়েছে এবং সেই সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থী অতি সহজেই সমস্ত কিছু শিখতে পারছে এবং সমস্ত কিছু শিখতে পারছে আনন্দের সাথেই।

যদি বলা হয়, তাহলে বলা যায় আজকের এই তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে অনেক বেশী অবদান রাখছে। এটি এখন যেমন আছে ভবিষ্যতে এর চাইতে অনেক বেশী আপডেট হবে আর আপডেট হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষা ব্যবস্থা আরও বেশী সহজ হয়ে উঠবে।

আরও,

  • দূরে থেকে শিক্ষা গ্রহন করা যাচ্ছে
  • সব ধরণের রেকর্ড শুরক্ষিত রাখা যাচ্ছে সহজেই
  • অনলাইন লাইব্রেরীর সমস্ত তথ্য যেকোনো সময় পাওয়া যায়
  • সহজেই সব ধরণের জ্ঞান অর্জন করা যাচ্ছে
  • মাল্টি মিডিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ
  • সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা
  • প্রযুক্তিগত বিদ্যা অর্জন
  • নিজেকে অনেক বেশী আপডেট ও অভিজ্ঞ করে তোলা

২- চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য আজ চিকিৎসা খাতে এসেছে এক আমূল পরিবর্তন। এক সময় যখন কেও অনেক বেশী অসুস্থ হয়ে যেত তখন নিজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আন্দাজের মাধ্যমে ওষুধ প্রদান করা হত এতে অনেকের রোগ ভালো হত কিন্তু বেশীরভাগ মানুষের রোগ ভালো হতনা।

কিন্তু বর্তমানে ঠিক ঘটছে তার উল্টটা কারণ এখন রোগ নিরাময় যেন একটি সাধারণ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেননা এখন অতি সহজেই ক্যান্সারের মত জটিল রোগ নিরাময় করা যাচ্ছে। এক সময় ক্যান্সারের কারনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে কিন্তু এখন ক্যান্সারের মত জটিল রোগেরও চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং রোগী ভালো হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশের মত যায়গায় এখন টেলি-মেডিসিন সেবা চালু হয়েছে এবং এটির বিকাশ ঘটছে অতি দ্রুত। এখন আমাদের দেশের চিকিৎসকরা ডিজিটাল মাধ্যম স্কাইপি, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল রুম ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন ফেনী, চট্টগ্রামের মত যায়গায় আন্তর্জাতিক মাংসের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।

এখন তৈরি হয়েছে মায়া অ্যাপের মত জায়গা যেখানে টাকা খরচ করে এবং ফ্রিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। তাছাড়াও ভিডিও মাধ্যম ইউটিউবে অতি সহজেই ভালো ভালো অভিজ্ঞ ডাক্তারের ভিডিও দেখা নিজেই রোগ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করা যাচ্ছে।

এখন চাইলেই অতি সহজেই কি রোগ হয়েছে সেটি বেড় করা যাচ্ছে এবং কি কারনে রোগ হয়েছে ও ভালো হওয়ার জন্য কি করা যেতে পারে সমস্ত কিছু একদম সহজ হয়ে উঠেছে। এখন সব ধরণের রোগের কারণ, লক্ষন, চিকিৎসা সমস্ত কিছুর রেকর্ড ধারণ করে রাখা অতি সহজ হচ্ছে।

ভবিষ্যতের জন্য লক্ষ লক্ষ রেকর্ড অনলাইন এবং অফ লাইন সার্ভারে স্টোরেজ করে রাখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই কোভিড-১৯ এর মত মহামারিকে পার করে এসেছি আমরা যদিয় টিকা প্রদান করা একটু দেরি হয়েছে কিন্তু সেটি পেয়েছি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য আজ নানা রকম ওয়েবসাইট ও সার্ভার তৈরি হয়েছে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য। এই সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা যেন মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে তাইতো ভিডিও কল এবং কনফারেন্সের মাধ্যমে যেকোনো যায়গায় বসেই চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গ্রহন করা যাচ্ছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ ব্যবহার গুলোর মধ্যে এটি অনেক বেশী উপকারী কারন এই সময়ে যদি কোন বড় ধরণের রোগের সৃষ্টি হয় সেই রোগের কারণ, লক্ষন এবং চিকিৎসা সমস্ত কিছুর রেকর্ড চাইলেই কম্পিউটারে সেভ করা রাখা যায় এবং পরবর্তিতে চাইলেই যেকোনো সময় সমস্ত তথ্য যাচাই বাছাই করা সহজ হবে।

এখন চাইলেই কোন প্রকার অপারেশন করা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা নিজের কক্ষে বসেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে কিভাবে অপারেশন করতে হয় সমস্ত কিছুই শিখে নিতে পারছে।

তথ্য প্রযুক্তির এত বেশী অগ্রগতি হয়েছে যে এখন চাইলে মানুষের জীন ( DNA ) পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে। যদি কোন বংশ ব্যাধি থাকে কারো শরীরে সেই রোগকে অতি সহজেই শরীর থেকে কেটে বাদ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেছে।

প্রযুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে চাইলে এখন মানুষ পুরুষ থেকে নারী এবং নারী থেকে পুরুষ হতে পাচ্ছে আর চাইলে নিজের শরীরে সার্জারি করার মাধ্যমে চেহারা পরিবর্তন করা যাচ্ছে।

এমন বলতে গেলে সারাদিনেও শেষ করা যাবেনা। তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এটুকুই থাক।

৩- গবেষণা কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যে অগ্রগতি হয়েছে সেটি একমাত্র গবেষণার ফল। যদি বিজ্ঞানীগণ গবেষণা না করতো তাহলে কিছুই হয়তবা আবিস্কার হতনা আর আমরা প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতাম না।

আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার তৈরি হয়েছে একমাত্র গবেষণার কারনে। মানুষ এখন ঘরে বসেই জানতে পারছে মহাকাশে কি রয়েছে, পৃথিবীর আয়তন কত সমস্ত কিছুই।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির প্রথম সময়ে গবেষণা করা অনেক বেশী কঠিন হত কারণ চাইলেই যেকোনো তথ্য অতি তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া যেতনা। আমরা সবাই জানি যেকোনো কিছু গবেষণার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে তথ্য।

সঠিক তথ্য চাইলেই একটি ধারণাকে সম্পূর্ন বদলে দিতে পারে। এখন চাইলেই ঘরে বসেই কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই যেকোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কারণ এখন সৃষ্টি হয়েছে মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড এর মত আবিস্কার যা মানুষকে করে তুলেছে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক।

উইকিপিডিয়ার মত ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে যেখানে পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে তথ্য যুক্ত করা রয়েছে। কোন কিছু সম্পর্কে গবেষণা করতে হলে প্রথমেই সেই বিষয়টি সিলেক্ট করে নিতে হয় তারপর সেই বিষয় সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে হয় এবং তথ্য গুলো খুঁজে পেলেই সেটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয় ও সব শেষে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

আর এই তথ্য খুঁজে পেতে আধুনিক যুগের এই তথ্য প্রযুক্তি অনেক বেশী কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

দেখুন আপনি যদি একটি গাড়ি তৈরি করতে চান যেটি তেল ছাড়া হয়ত অন্য কোন পদার্থ দিয়ে চলতে পারবে। আপনি চাইলেই কিন্তু গাড়িটি তৈরি করে ফেলতে পারবেননা। প্রথমে আপনাকে আগের তৈরি গাড়ি গুলো সম্পর্কে প্রচুর তথ্য খুঁজে বেড় করে নিতে হবে।

তারপর সেই সমস্ত তথ্য থেকে গাড়ি তৈরি আইডিয়া গুলো নিয়ে কাজ করা শুরু করতে হবে। আর এখানে একটি বিষয় হচ্ছে আপনি যে সমস্ত তথ্য খজে বের করবেন সেগুলো কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করেই করবেন।

আর এটিই হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির এক বড় অবদান চাইলেই ঘরে বসে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে সমস্ত তথ্য খুঁজে বেড় করা অনেক সহজ। বর্তমানে যারা গবেষণা কাজে নিয়জিত রয়েছেন তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে তথ্য গুলো খুঁজে বেড় করে থাকে এবং পরবর্তিতে যে সমস্ত নতুন কিছুর আবিস্কার হয় সেটি সম্পর্কে ইন্টানেটে আপডেট করা হয়ে থাকে যেন কারো দরকার হলে তথ্য গুলো খুঁজে নিতে পারে।

দেখুন কোন একটি ল্যাবে যদি কিছু নিয়ে গবেষণা করা হয় পরবর্তিতে সেই গবেষণার যে ফলাফল সেটি কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহার করেই বেড় করা হয়। তাই বলা যায় তথ্য গবেষণার কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অনেক বেশী অবদান রয়েছে।

৪- কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ ব্যবহার গুলোর মধ্যে এটিও একটি কারণ আধুনিক বিশ্বের কৃষি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি। আধুনিক চাষের মাধ্যমে ফসল অধিক ফলানো সম্ভব হয়ে উঠেছে।

এক সময় জমি চাষ করার জন্য ব্যবহার করা হত কাঠের লাঙ্গল এবং গরু কিন্তু এখন সব আধুনিক যন্ত্রের আবিস্কার হয়েছে যেটি ব্যবহার করার মাধ্যমে অতি সহজেই জমি চাষ করা বা জমির মাটি খুড়তে অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্র যুক্ত হওয়ার কারণে এখন দেখা যাচ্ছে তরুন প্রজন্ম অনেক বেশী কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বর্তমানে যে সমস্ত মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত আছেন তারা সবাই এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

জমিতে ইরিগেশন বা পানি সেচ দেয়ার জন্য এখন আধুনিক প্রযুক্তি ড্রিপ ইরিগেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে এমনকি এটি এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। ড্রিপ ইরিগেশন এমন এক প্রযুক্তি যেটি ব্যবহার করলে কৃষক যদি জমিতে নাও যায় তারপর সঠক সময়ে সঠিক পরিমাণ সেচ হয়ে থাকে।

তাছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এখন বীজের জাত উন্নয়ন করা যাচ্ছে যার ফলে জীন পরিবর্তনের পাশাপাশি অধিক এবং কম সময়ে যেকোনো কিছুর ফলন ঘটানো সম্ভব হয়ে উঠেছে আর যাকে আমরা হাইব্রিড বলে আখ্যায়িত করে থাকি।

এক সময় ফসলি জমিতে কোন প্রকার রোগ ব্যাধি হলেই কিছুতেই বুঝে উঠছে পারা যেতনা যে কি রোগ হয়েছে। তখন একটি ধারণার উপর ভিত্তি করে ঔষধ প্রয়োগ করা হত যার ফলে লাভের চাইতে ক্ষতি বেশী হত।

কিন্তু এখন চাইলেই কি রোগ হয়েছে সেটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা সম্ভব এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার নিজে নিজে ঘরে বসেই মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে আধুনিক কৃষি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় এবং কোন সময় কোন ফসল চাষ করতে হবে সেটিও জানা যায় অতি সহজে।

এখন ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই করা সমস্ত কিছু করা যাচ্ছে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে। সব মিলিয়ে যদি বলা হয় তাহলে দেখা যায় যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কৃষি কাজে নিয়ে এসেছে অনাবিল পরিবর্তন।

৫- বিনোদন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

আধুনিক প্রযুক্তি এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে এখন বেশীরভাগ টিনেজারদের যদি বলা হয় মঞ্চ নাটক কি সেটি কি জানো? তারা এক কোথায় উত্তর দিয়ে দিবে না চিনিনা বা জানিনা।

এর কারণ কি? কারণ হচ্ছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। যেহেতু চাইলেই হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করে ইউটিউব বা ফেসবুক ব্যবহার করে গান শোনা যায়, ভিডিও দেখা যায়, বিভিন্ন কিছু শেখা যায়।

চাইলেই টিকটকের মত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে নিজে ভিডিও তৈরি করা যায় এবং অন্যদের ভিডিও দেখে বিনোদন নেয়া সম্ভব হয়। বিনোদনের আরো একটি অংশ হয়ে উঠেছে ভিডিও গেমস কারণ একন গেমস গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, চাইলে বিশ্বের যেকোনো মানুষের সাথে গেমস খেলা সম্ভব, কথা বলা সম্ভব।

এখন তৈরি হয়েছে ভার্চুয়াল রিলেলিটি যা ব্যবহার করে নিজের চিন্তা শক্তিকে বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব হয়। আগের দিনে লুডুর পাতা নিয়ে হত লুডু খেলতে কিন্তু এখন চাইলে ঘরে বসে নিজের বন্ধু বা অন্য কারো সাথে অফলাইন এবং অনলাইনে লুডু খেলা সম্ভব হয়ে উঠেছে।

চাইলেই খেলার মাঠে না গিয়েই খেলা দেখা সম্ভব কিন্তু এটি অনেক বেশী ক্ষতির কারণ বলে আমি মনে করি আপাদত খেল দেখতে মাঠে যাওয়া উচিৎ। যাইহোক, এখন মুভি দেখতে সিনেমা হলে যাওয়ার দরকার হয়না ঘরে বসে ইউটিউব বা কোন একটি সার্ভার থেকে সহজেই মুভি দেখা যায়।

ঘরে বসে যেকোনো লেখকের বই পড়া যায় মোবাইল ব্যবহার করে। সব মিলিয়ে বললে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ টি ব্যবহার এর মধ্যেও এই খাতে অনেক বেশী পরিবর্তন করে নিয়ে এসেছে যদি তাই না হত ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেকোনো কিছু সম্ভব হতনা।

৬- পরিবেশ ও আবহাওয়ায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

আধুনিক বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি এত বেশী অগ্রগতি হয়েছে যে দুইদিন আগে থেকেই জানা সম্ভব হচ্ছে কবে বৃষ্টি হবে এবং কবে রোদ হবে। এখন ঝড়ের পূর্বাভাস আগে থেকেই জানা যায় অতি সহজেই।

শুধু যে দেশেরটি জানা যায় সেটি বললে ভূল হবে কারণ মোবাইল ব্যবহার করে যে দেশের লোকেশন দেয়া হয় সেই দেশের আবহাওয়া বার্তা জানা যায় অতি সহজেই।

এক সময় সমুদ্র পথে যাত্রা করা জাহাজ গুলো কোনভাবেই জানতে পারতোনা যে কোন সময় ঝড় হবে , কোন সময় বৃষ্টি হবে যাই পরে খবর পাওয়া যেত জাহাজ ডুবে গিয়েছে কিন্তু এখন আর সেটি হয়না কারণ আগে থেকেই সমস্ত খবর পৌঁছে দেয়া হয়ে থাকে তাই তারা আগে থেকি সাবধান হয়ে যায়।

এখন আগে থেকেই উপকূলবর্তি এলাকার মানুষকে বার্তা দিয়ে দেয়া হয় যার ফলে তারা আগে থেকেই নিজের সুরক্ষার জন্য দূরে চলে যায়। এখন প্রযুক্তি এত বেশী আপডেট যে কয়দিন পর বৃষ্টি হবে কত দিন যাবৎ থাকবে সব কিছুই বিস্তারিতভাবে বলে দেয়া হয়।

সব মিলিয়ে বলতে গেলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০ ব্যবহার এর মধ্যে এটিও মানুষের অনেক বেশী উপকার করে আসছে প্রতিনিয়ত।

৭- ব্যাক্তি বা সামাজিক কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

ব্যাক্তি জীবন ও সামজিক জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেশী লক্ষ্য করা যায়। এক সময় মানুষ অন্য কারো সাথে কথা বলতে চাইলে তার কাছে যেত হত কিন্তু এখন চাইলেই হাতে থাকা মোবাইল ব্যবহার করে অতি সহজেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

মানুষকে অনেক বেশী কাছে নিয়ে আসার জন্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন চ্যাটিং অ্যাপ যেমন হোয়াটঅ্যাপস। এখন চাইলেই একটি ফোনে অনেক মানুষ এক সাথে কথা বলতে পারে।

চাইলে হাতে থাকা মোবাইলটি ব্যবহার করে অনেক কিছু ভিডিও আকারে ধারণ করে রাখা যায়। নিজের এবং পরিবারের স্মৃতি গুলোকে ক্যামেরা বন্ধি করা যায় অতি সহজেই।

এখন চাইলেই ঘরে বসে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে গান শোনা যায়, মুভি দেখা যায়। মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে খুব সহজেই যেকোনো বই পড়া যায়।

নিজের বিনোদনের জন্য ভিডিও গেমস খেলা যায়। এখন চাইলেই ঘরে বসে যেকোনো পন্য এবং খাবার অর্ডার দেয়া যায় এবং ডেলিভারি পাওয়া যায় ঘরে বসেই। এর চাইতে আর কি সুবিধা প্রয়োজন।

এখন চাইলেই ঘরে বসেই নিজের পরীক্ষার ফলাফল জানা যায় এবং চাকরির জন্য হাতে থাকা মোবাইলটি হলেই হয়ে যায়। নিজের প্রয়োজনে অন্য কোথা থেকে টাকা নেয়া যায় এবং টাকা পাঠানো যায়।

হাতে থাকা মোবাইলটি যেন একটি ব্যাংক আক্যাউন্টে পরিণত হয়েছে। এখন এই প্রযুক্তি এমনভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে যে, সব প্রকারের মানুষ প্রযুক্তির মধ্যেই বসবাস করছে।

৮- প্রচার ও গণমাধ্যমে তথ্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

এক সময় নিজের বাড়ি থেকে কয়েক কিলিমিটার দূরে কি হচ্ছে সেটি মানুষের পক্ষে জানা অনেক বেশী কঠিন ছিল আর দূর এবং বিদেশের কোথা কি বলার আছে। কিন্তু এখন এই আধুনিক প্রযুক্তি এত বেশী আধুনিক হয়েছে যে, চাইলেই নিজের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে অতি সহজেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের খবর পাওয়া অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।

যদি অ্যামেরিকাতে কোন একটি ঘটনা ঘটে , সেই তথ্য পেতে কিন্তু ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়না। এই অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়ছে এক মাত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে।

এখন ঘরে ঘরে রয়েছে ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল তাছাড়াও রয়েছে অনেক ধরণের দেশি বিদেশি লাইভ টিভি চ্যানেল যেগুলোর মাধ্যে মূহুর্তের মধ্যেই অতি সহজেই যেকোন দেশের খবর পাওয়া সম্ভব।

গণমাধ্যম গুলো আরও বেশী সহজ হয়ে উঠেছে ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করার ফলে। কারণ এখন বেশীরভাগ মানুষ তাদের সময় ব্যয় করে ফেসবুক এর মত সোশ্যাল মিডিয়া আর ঐ খান থেকে যেকোনো তথ্য অতি তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।

সমস্ত কিছু এমন হয়েছে পুরো বিশ্ব যেন মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এখন সমস্ত তথ্য অতি সহজেই মানুষের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দেয়া অনেক বেশী সহজ হয়ে উঠেছে।

৯- ব্যাংক মাধ্যেম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

বর্তমানে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা তাদের গ্রাহককে ব্যাংক সেবার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বিকাশ, নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম গুলোর অনেক বেশী ব্যবহার শুরু হয়েছে।

এখন চাইলেই এটিএম বুথ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো সময় টাকা উত্তলন করা অনেক বেশী সহজ। মানুষের চাহিদা এবং সুবিধার জন্য গড়ে উঠেছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদান প্রতিষ্ঠান।

এখন বড় বড় ব্যাংক গুলো অ্যাপ লঞ্চ করছে যার মাধ্যমে ঘরে বসেই যেকেও অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে টাকা ডিপোজিট এবং উত্তলন করতে পারছে। এখনো বাংলাদেশের ব্যাংগুলোতে প্রপারভাবে এটি চালু হয়নি কিন্তু অচিরেই হয়ে যাবে বলা আশা করা যায়।

১০- ক্যারিয়ারে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

এখন মানুষ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে অতি সহজেই নিজের জন্য কোন শিক্ষা অনেক বেশী ভালো হবে সেটি যাচাই বাছাই করতে পারে। তাছাড়াও নিজের চাকরির আবেদন নিজে নিজে করতে পারে।

বিশেষ ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমে হয়ে উঠেছে অনেক উপকারী কারণ এখন গুগলের মত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার মত সুযোগ হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের আর এটি ঘটেছে তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে।

এখন ঘরে বসেই অফিস করা যায় শুধু তাই নয় ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার অনেকেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। নিজেরদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভিডিও পাবলিশ, ব্যবসা সমস্ত কিছু করা যাচ্ছে অতি সহজেই।

এখন ব্যবসা করার জন্য নিজের কোন দোকান দরকার হয়না শুধু ফেসবুকে একটি পেজ হলেই হয়ে যায় শুধু তাই নয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ঘরে বসেই অন্যদের হাতে পন্য পৌঁছে দেয়া এখন যেন ছেলে খেলায় পরিণত হয়েছে।

আমাদের দেশের অনেক যুবক রয়েছে যারা চাকরি না করে ফ্রিলান্সিং বেঁছে নিয়ে নিজেই হচ্ছে উদ্যোক্তা। সব মিলিয়ে যদি বলা হয় তাহলে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে তথ্য প্রযুক্তি অনেক বেশী অবদান রাখছে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *