সাত ব্যাংককে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সাত ব্যাংককে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৯.৭% সুদে তিন দিনের জন্য এই টাকা নিয়েছে ব্যাংকগুলো
পাঁচটি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ সঙ্কটে পড়া সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ২২ হাজার কোটি টাকার জরুরি তহবিল দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পাঁচটি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
ন্যাশনাল ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংকও এসব জরুরি ঋণ পেয়েছে।
৯.৭% সুদে তিন দিনের জন্য এই টাকা নিয়েছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকের পরিচালনা ও আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণে সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোতে জামানতের জন্য পর্যাপ্ত জামানতের অভাব থাকায় ডিমান্ড প্রমিসরি নোট এর বিপরীতে এই অর্থ দেওয়া হয়।
এই নোট ঋণগ্রহীতা ও ঋণদাতার মধ্যে আইনগত বাধ্যতামূলক নথি। এর মাধ্যমে যখনই ঋণদাতা টাকা ফেরত চায় তখনই ঋণগ্রহীতা তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কোনো ব্যাংকের জামানত হিসেবে দেওয়ার জন্য বিল বা বন্ড না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংককে এই প্রক্রিয়ায় টাকা দেয় তবে এসব বিরল ঘটনা।
১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পরিচালিত অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে নেতিবাচক ব্যালেন্স উল্লেখ করে পাঁচটি শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংককে একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকের অর্থ লেনদেনের ক্লিয়ারিং ও নিষ্পত্তির জন্য চলতি হিসাব ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও, ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নগদ রিজার্ভ অনুপাত ও বিধিবদ্ধ তারল্য অনুপাত হিসাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তহবিল বজায় রাখতে হবে, যা চলতি হিসাবে জমা করা হয়।
চলতি হিসাবে ব্যালেন্স ঋণাত্মক হতে পারে না।
তহবিলের তীব্র প্রয়োজন দেখা দিলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাঁচটি শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংক মোট ১৪,৭৯০ কোটি টাকা তহবিল নেয়। বিশেষ ব্যবস্থার অধীনে ইসলামী ব্যাংক ৮.৭৫% সুদে একাই নিয়েছিল ৮,০০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন একটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ দেয়, তখন এটি কার্যকরভাবে নতুন অর্থ তৈরি বা ইস্যু করে, যাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ সৃষ্টি বলা হয়। এটি একটি মূল প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ সরবরাহ ও বৃহত্তরভাবে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।